খানাখন্দ আর গর্তে ঝুঁকির মুখে নিকলী বেড়িবাঁধ

nikli beribadh1

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
হাওর-সৈকতখ্যাত নিকলী সদরের বেড়িবাধ। বর্ষা আসার আগেই স্থানে স্থানে দেখা দিয়েছে খানাখন্দ আর গর্ত। বেড়িবাধটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার। সদর ইউনিয়নের মোহরকোনা গ্রামের পূর্ব প্রান্ত থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত বাধের সড়কে বিভিন্ন স্থানে ঢালাই সরে গিয়ে পাথর-কংক্রিট উঠে গেছে।
nikli beribadh1
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের উত্তর পাশে ঢালাই উঠার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে, মাটি দিয়ে সমান্তরাল করে রাখায় ভাঙাচোরা আড়াল হয়ে রয়েছে। ঢেউ প্রতিরোধক স্লাভগুলো কোনো কোনো জায়গায় দেবে যাওয়ায় ঝুকির মুখে পড়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রক্ষাকারী এই বাধটি। বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। পুরো বর্ষা আসার আগেই যদি মেরামত না করা হয় তবে অরক্ষিত হয়ে যেতে পারে পুরো এলাকা; সেই সাথে বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ করতে আসা মানুষের আকর্ষণও হারাতে পারে।
nikli beribadh
কটিয়াদী উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা শরিফ মিয়া নামের এক যুবকের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, প্রতি বর্ষায় আমি নিজস্ব বাইকে করে এখানে ঘুরতে আসি। এ বছর এসে দেখলাম বেড়িবাধের অনেক জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় বাইক চালাতেও সমস্যা হচ্ছে। এখানে গাড়ি চালালে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরোপুরি বর্ষা আসার আগে মেরামত না করা হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে বাঁধটি।

বেড়িবাধটির উত্তর প্রান্তে পশ্চিম দিকে বাঁক নেয়ার পর অনেকটা অংশ জুড়ে প্রটেকশন ওয়ালের সাথেও মাটি একেবারেই নেই। ওয়াল থেকে বাড়িঘরের মাঝখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ গজের মতো জায়গা একেবারে ফাঁকা। এই খালি অংশটুকু মাটিতে ভরাট করা হলে ওয়ালের সাপোর্টিং হিসেবে কাজ করতো।
nikli beribadh
উল্লেখ্য, বেড়িবাঁধটি ১৯৯৭ সালের ২৭ নভেম্বর মাটি ভরাটের কাজের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কারার মাহমুদুল হাসান। ১৯৯৮ সালের ২১শে জুলাই বেরিবাঁধ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

Similar Posts

error: Content is protected !!