বিশেষ প্রতিনিধি ।।
সারাদেশে অবিরাম বৃষ্টি না হলেও থেমে থেমে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকার পরিস্থিতি দেখে মনে হয় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। আসলে ওই এলাকাগুলো দেখে সাধারণভাবে বোঝার উপায় নেই, কোনো বন্যাকবলিত এলাকা নয়। এটা বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা। কিন্তু কেন এই পানি! দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে। রাস্তার এক পাশে ড্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও পানি যেতে পারছে না। ড্রেন সময়মতো পরিষ্কার করা তো দূরের কথা, ক্ষেত্রবিশেষে কখনোই পরিষ্কার করতে দেখা যায় না; ফলশ্রুতিতে পয়ঃ চলাচলের পথ আটকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহু বছর ধরে এমন চিত্র নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দিপাড়া, গলাচিপা বালুর মাঠসহ বিভিন্ন এলাকায়। আগে যদিও পানি কিছুটা কম দেখা যেত; কিন্তু এখন সেই পানির পরিমাণ অনেক বেশি। কারণ গলাচিপা ও নন্দিপাড়ার মাঝখানে বোয়ালিয়া খাল ছিল সেটি গত ৫ বছর আগে ভরাট করে একটি নতুন রাস্তা হয়েছে। এখন সেখানে ছোট্ট একটি ড্রেন থাকলেও পর্যাপ্ত পানি সেখান দিয়ে যেতে পারছে না। কোনো কোনো জায়গায় ড্রেনের ভেতর থেকেও পানি বের হয়ে রাস্তায় এসেছে এমনটি দেখে এলাকাবাসিও অবাক। সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে সেই পানিতে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, যেটি হতে পারে বড় দুর্ঘটনার একটা কারণ। একটি অটোরিকশার সবগুলো ব্যাটারিতে যেই পরিমাণ বিদ্যুৎ থাকে সেটি পানির কারণে প্রবাহিত হয়ে দুর্ঘটনায় ফেলতে পারে পানিতে চলা রিকশার যাত্রিদের এবং পথচারীদের।
অনেকেই ঘর থেকে রাস্তায় একটু শুকনো স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে রিকশার জন্য। ভাগ্যক্রমে যদি রিকশা পেয়ে যান তাহলে আর নোংড়া পানিতে নামতে হবে না। সে সুযোগে রিকশাওয়ালাও ভাড়া নিচ্ছেন স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ। আর তাই সে সকল এলাকায় বৃষ্টি হলে এলাকাবাসীর ভোগান্তিই বাড়ছে না স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী কিংবা ব্যবসায়ীর সঠিক সময়ে নিরাপদে পৌছাই দুরুহ। নোংড়া পঁচা ময়লা আর দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচলের ফলে ওইসব এলাকার অনেকেরই বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে।