মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর সংবাদদাতা।।
বাজিতপুরে মো.রমজান আলী (৫৫) নামের এক পুরুষকে ১ মাস যাবত খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মো. রমজান আলীর বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ মো. রমজান মিয়া গত ২ মে আনুমানিক ১০টার দিকে পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নরসিংদী ভেলানগরে ছেলের কাছে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন। ১ মাস ৪দিন হয়ে গেলেও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান মিলেনি।
এদিকে নিখোঁজ মো. রমজান আলীর স্ত্রী মোছা. হোসনা আক্তার বাদী হয়ে ননদ ও ননদ জামাইসহ ২/৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে তাদের বিরুদ্ধে বাজিতপুর থানায় ডায়েরী ও মামলা করেছেন। মোছা. হোসনা আক্তার জানান, আমার স্বামী মো. রমজান আলী গত ১৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরারচর থেকে তার বাবার বাড়ি অত্র থানাধীন পিরিজপুর ইউনিয়নের পোঁড়াকান্দা সাকিনের (আসামীদের) বাড়িতে বেড়াতে যায়। সাকিনের বাড়িতে ১০দিন অবস্হান করার পর ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে আসামীদ্বয় সংবাদ পাঠায় ওরা তাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছে বলে। আমার স্বামী বাড়িতে কিংবা নরসিংদীতে ছেলের কাছে যাইনি। স্বামী বাড়িতে ফেরত না আসায় আমি বিষয়টি এলাকার লোকজনকে জানিয়েছি। কয়েক দিন যাবত বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে খোঁজাখুজি করেও স্বামীর কোন সন্ধান পায়নি। এখনও খোঁজাখুজি চলছে।
এছাড়াও তিনি আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা ও ডায়েরী করা সম্পর্কে বলেন, আমার ননদ ও ননদ জামাই আমার স্বামীর ২ শতাংশ জমিতে বসবাস করত। দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী রমজানের সাথে ভূমি বিরোধসহ ভূমি হতে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্র করেছে। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়টি স্হানীয় ভাবে সমাধান করতে চাইলে তারা অমান্য করত। আমাদের পরিবারের সবাইকে ভয় ভীতি দেখাত। ২ শতাংশ জমি গ্রাস করার জন্যই আমার স্বামীকে মারার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এবং ১৮ এপ্রিল হতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে গুম করেছে।