আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
এ বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার ১৫ জুন সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির এক সভায় এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালাম। বাসস
ইসলামি শরিয়া মতে আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির, যব ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যায়। আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৬৫ টাকা আদায় করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২০০ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৫০০ টাকা, পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে। মুসলমানরা নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি বা তার বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
এসব পণ্যের স্থানভেদে খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য থাকায় এর স্থানীয় মূল্যেও ফিতরা আদায় করা যাবে। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মা‘রূফ, ঢাকা নেছারিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা হাবিবুল মতিন সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, পেশ ইমাম মুফতী মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা এহসানুল হক ও আহছানিয়া ইনস্টিটিউটটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মদ উছমান গণী প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।