আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
রমজান মাস নেক আমল ও দোয়া কবুল হওয়ার মাস। এ মাসে রোজাদার রোজা রাখেন। দিনে-রাতে সালাত আদায় করেন। তারাবি পড়েন। নফল নামাজ পড়েন। তাহাজ্জুদ পড়েন। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করেন। এ মাসকে বলা যায় ইবাদতের বসন্ত কাল। এ মাসে দান সাদকাও বেশি বেশি করা হয়। গরিব অভাবীদের যাকাত ফেতরা অন্য মাসের তুলনায় এ মাসেই বেশি দেয়া হয়। রমজান মাস আসার আগেই রাসুল সাঃ ইবাদাতের জন্য প্রস্তুতি নিতেন এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃদের তাগিদ দিতেন।
এ সম্পর্কে হযরত ওবাদাহ বিন ছামেত রাঃ হতে হাদিস বর্ণিত আছে। একবার রাসুল সাঃ রমজান মাস আসার কিছু দিন আগে আমাদের বলেন, রমজান আগত প্রায়। এটি অনেক বরকতের মাস। আল্লাহ তায়ালা এতে তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি প্রদান করেন এবং খাস রহমত বর্ষণ করেন। গোনাহ মা’ফ করে দেয়া হয়। দোয়া কবুল করা হয়। এবাদতের প্রতি তোমাদের আগ্রহ দেখতে থাকেন এবং ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন। সুতরাং আল্লাহ পাককে সৎকাজ ও নেক আমল করে দেখাও। হতভাগ্য ঐ ব্যক্তি যে এই মাসে আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত থাকে। রমজান মাসে রোজাদারের দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় হলো ইফতারের মুহূর্ত। আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয়ে যায় না। এর মাঝে একটি হলো ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। হযরত ওমর রাঃ হুজুর সাঃ হতে হাদিস বর্ণণা করেন, রোজাদারকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর প্রার্থনাকারী ব্যর্থ হবে না। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন, রমজানের প্রত্যেক রাতে একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকে যে, হে নেক অন্বেষণকারী অগ্রসর হও। হে পাপাচারী থেমে যাও! চোখ খোলো। সে আবার বলে যে ক্ষমা চাইবে তাকে ক্ষমা করা হবে। অনুতাপির অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর দোয়া কবুল করা হবে। (সূত্র: ফাজায়েলে রমজান)