মহাস্থানের মাদক ব্যবসায়ীরা আবারো বেপরোয়া

drugs

জি আর শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) সংবাদদাতা ।।
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় আবারো ভয়ানক মাদকে সয়লাব। মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। এখন যেখানে সেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক। বেশ কিছু এলাকায় প্রকাশ্যে মাদকের বেচাকেনা। দেখে মনে হয় এরা যেন সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত।

এদের দাপটে ভয়ে কেউই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। অনেক সময় ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে আটক হওয়া মাদকসেবীদের তথ্য মতে জানা যায়, মহাস্থানগড় পাথরপট্টি ও শালবাগান নামক স্থানে দিনরাত চলছে মাদকের বেচাকেনা। একই অবস্থা মহাস্থান পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মোন্নাপাড়া, কসাইপট্টির পাশে কয়েকটি স্টলে, ডাকবাংলা রোডস্থ, করতোয়া ব্রীজের পাশে, গড়মহাস্থান মিস্ত্রিপাড়া, মহাস্থান কলেজের বটতলী ও এর আশপাশেসহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্বক্ষণ ভ্রাম্যমাণ মাদক ব্যবসায়ীদের এসব এলাকায় অবাধে চলছে জমজমাট ব্যবসা। এর মধ্যে মহাস্থান নামাপড়া ও দক্ষিণপাড়া রাস্তাটা যেন মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে। তারা যেসব মারণ নেশা (মাদক) বিক্রি করে তার মধ্যে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন বেশি।

এলাকাবাসী আমাদের নিকলী ডটকমকে জানান, যেখানে অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা, সেই এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মাদকসেবীদের আসা-যাওয়া। অনেক সময় উঠতি বয়সের মাদকসেবীরা, মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে ওই এলাকার গৃহবধূ যুবতী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে।

এসব মাদকসেবী তারা তাদের মাদকের টাকা জোগাতে করছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড। এমনকি সংসারের শৌখিন আসবাসপত্রসহ, বৌ-এর পড়নের কাপড় পর্যন্ত বিক্রি করে তারা নেশা করে বলে জানা যায়।

মাদক বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা আর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে প্রায় যুব সমাজ। এমন অবস্থায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে ভীষণ দুঃচিন্তায় ভুগছেন অভিভাবক মহল। মহাস্থানের বেশ কিছু সচেতন মহল আরো জানান, মহাস্থানে অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে প্রশাসন মাদকসহ হাতেনাতে আটক করলেও থানা পর্যন্ত পৌঁছার আগেই সেটি টাকার বাণিজ্যে পথিমধ্যেই ছেড়ে দেয়া হয়। এজন্য প্রসাশনের ওপর থেকেও যেন আস্থা হারিয়ে ফেলছেন সচেতন মহাস্থান এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও দায়িত্বশীলদের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই মারণ ব্যাধি এলাকা থেকে দূর করা হোক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমন ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসবেন, স্থানীয় ভুক্তভোগীদের এমনই প্রত্যাশা।

Similar Posts

error: Content is protected !!