মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর সংবাদদাতা
সংবাদদাতা।।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে বাজিতপুরের সাধারণ মানুষের ঈদ কেনাকাটা। ঈদ যত কাছাকাছি আসছে ততই বাড়ছে কেনাকাটা আর মার্কেটে ক্রেতার উপস্থিতি। দিনে-রাতে সুবিধামতো সময়ে মানুষজন যাচ্ছে মার্কেটে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার শোরগোলে জমজমাট হয়ে উঠেছে উপজেলার বৃহত্তম সরারচর বাজার, বাজিতপুর বাজার, ভাগলপুরের রশ্নি মার্কেট ও পিরিজপুর বাজার।
বৃহত্তর ময়মনসিংহে বড় বাজারগুলোর মধ্যে থাকা সরারচর বাজার, পৌর শহরের বাজিতপুর বাজার ও ভাগলপুর রশ্নি মার্কেট এবং পিরিজপুর বাজারের প্রতিটি দোকানে বইছে আগাম ঈদের হাওয়া। ঈদ সামনে রেখে বাহারী ডিজাইন আর বিভিন্ন মডেলের পোশাক শোভা পাচ্ছে বিপণী বিতানসহ কাপড়ের দোকানগুলোতে। আগাম দাম কম পাওয়ার আশায় ফুটপাত থেকে শুরু করে উপজেলার ৪টি বাজারেই দেখা যাচ্ছে সব শ্রেণীর ক্রেতাদের ঢল।
ক্রেতাদের সমাগম ভালো থাকায় শুধু কাপড় নয় জুতার দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকানেই বাড়ছে ভিড়।
এই প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে সরারচর ও বাজিতপুর বাজারের কয়েকজন দোকান মালিক জানান, বাজারে ক্রেতা সমাগম ভালো। আশা করি, এবারের ঈদটা ভালোভাবে কাটাতে পারব। আমাদের কাছে পরিমাণ অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় মজুদ আছে। ইন শা আল্লা ২৪-২৫ রমযানের দিকে পুরো দামে ঈদ বাজার জমবে। কেনাকাটাও হবে ব্যাপক, কাস্টমারও পাবো অনেক। দোকানিরা আরো জানান, গত বছর আবহাওয়া খারাপ থাকায় বেশি লাভ হয়নি। এবার আশা করি আবহাওয়া ভালো থাকলে পুষিয়ে নিতে পারব।
এদিকে বাজিতপুরের নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় রয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দসই পোশাক কিনে নিচ্ছেন এসব দোকান থেকে। বাজিতপুর বাজারে ফুটপাত থেকে পোশাক কিনতে আসা রিক্সাচালক মো. আলী আকবর বলেন, আমার কামাই কম স্যার। আগাম কাপড়ের দাম কম থাকে বলে বাচ্চাদের জন্য ফুটপাত থেকে কিনে ফেলছি কাপড়-চোপড়। আমরা তো আর ইচ্ছে করলেই ওই সব বড় বড় মার্কেটে যেতে পারি না!