নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
অষ্টগ্রাম। প্রতি বছরের মতো এবারো এখানে ঈদের কেনাকাটা চলছে। প্রস্তুত হচ্ছে সবাই ঈদ আনন্দে ভেসে বেড়াতে।
ঈদের কেনাকাটার জন্য উপজেলা সদরে রয়েছে ১৩টি কাপড়ের দোকান। জুতার দোকান রয়েছে ৮টি। এসব দোকানে সাধারণত শপিং করে থাকেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। এছাড়াও পোশাকে বৈচিত্র্য খুজতে অনেকেই পাড়ি দেন ভৈরব, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন শপিং সেন্টারে।
এখানে ক্রেতাদের কেনাকাটায় ঈদ বাজেট থাকে দুই থেকে তিন হাজারের মতো। তা দিয়েই দিব্যি মানিয়ে নেন সবাই। ক্রেতাদের সামর্থ্য বিবেচনায় সবচে সুন্দর ও ভালোমানের পণ্যটাই রাখার চেষ্টা করছেন দোকানিরা।
এসব দোকানে ঢাকার মতো শুধু এক ধরনের পণ্য রাখলে চলে না। প্রতিটি দোকানেই রাখতে হয় ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় সবার পোশাক-আশাক। ক্রেতারা চেষ্টা করেন এক দোকানে বসেই ঈদের সব কেনাকাটা শেষ করতে।
এলাকাবাসী জানান, দোকানগুলোতে অন্য বছরের মতো সকালের দিকে বেশি ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রাতে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ছয়টি ইউনিয়নের লোকজন সহজে উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে পারছেন। দিন-রাত যে কোনো সময় আসা-যাওয়ার জন্য যানবাহন পর্যাপ্ত হওয়ায় অনেকেই সারাদিনের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সন্ধ্যার পর কেনাকাটা করতে আসেন। আগে সন্ধ্যার পর পরই বাজার একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে যেতো।