গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান সংবাদদাতা ।।
নিখোঁজের প্রায় সাড়ে ৬ মাস পর গড়মহাস্থানের গোলাম রাসুল (১৮) নামের এক যুবকের কঙ্কাল গোকুল সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২৮ নভেম্বর ২০১৫ শনিবার মহাস্থানগড় হযরত শাহ সুলতানের মাজার শরিফ ঈদগাহ মাঠ ময়দানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বন্ধুদের সাথে ওয়াজ শোনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে গত ২ জানুয়ারি পত্রপত্রিকা ও বেশকিছু অনলাইনে একটি নিখোঁজের সংবাদও প্রকাশ করা হয়। এতে গোলাম রাসুলের মা লাকী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত ২৮ নভেম্বর শনিবার মহাস্থানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল শেষে রাতে বাড়িতে না ফেরায় ছেলেকে ফোন দেন। তখন তাকে জানানো হয়, মা আমার জন্য চিন্তা করো না। আমি ভালো আছি। বন্ধুদের সাথে আছি। তাদের গাড়িতে তুলে দিয়ে আমি বাড়ি ফিরবো।
এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।
নিখোঁজ গোলাম রাসুলের পিতা মিঠু মোল্লা জানান, আমার ছেলে নিখোঁজের ৫ দিন পর খোজাখুজি করে কোথাও না পাওয়ায় শিবগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় ১০ জুলাই রোববার দুপুর ১টায় গোলাম রাসুলের বন্ধু আবিদ নামের এক যুবলীগ কর্মীকে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দিলে গোলাম রাসুল হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
আবিদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, গোকুল ইউনিয়ন শাখার যুবলীগ নেতা একাধিক মামলার আসামী আকুল মণ্ডল এই হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী। সন্ত্রাসী আকুলসহ তার ক্যাডারবাহিনী তাকে হত্যা করে তার বাড়ি গোকুল মণ্ডলপাড়া ঈদগাহ মাঠের পাশে সেফটি ট্যাংকে লাশ গুম করে রাখে। পরে পুলিশ এসে সন্ত্রাসী আকুলের বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে নিহতের কঙ্কাল উদ্ধার করে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যায়নি।