ওমানে গৃহবন্দী বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের জীবন

oman workers woman

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসেন আসমা। কিন্তু তার রিক্রুটিং এজেন্ট তাকে একজন ওমানি ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়, যিনি তার পাসপোর্ট আটকে রেখে ওমানে নিয়ে যায়। সেখানে তার বাড়িতে তাকে দিনে ২১ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হতো, ঠিক মতো খাবার দেয়া হতো না এবং যৌন হয়রানি করা হতো এবং তাকে এক টাকাও বেতন দেয়া হয়নি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ওমানে এভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অনেক বিদেশি গৃহকর্মী। ওমানের অনেক বাড়িতে বিদেশি গৃহকর্মীরা বন্দী হয়ে রয়েছেন।
ওমানে ১ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি শ্রমিক রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল আর ইথিওপিয়ার শ্রমিকরা এরকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

oman workers woman

আসমা খাতুন বলছেন, ”আমি ভোর সাড়ে ৪টায় কাজ শুরু করতাম, আর শেষ হতো রাত ১টায়। সারাদিনে তারা একবারও আমাকে বসতেও দিতো না। আমি কাজ ছেড়ে দিতে চাইলে বলতো, তোমাকে আমরা কিনে এনেছি, আমাদের টাকা দিলে তুমি যেতে পারবে।”

ওমানের কাফালা পদ্ধতির কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের এই হয়রানির সুযোগ পাচ্ছেন মালিকরা।

সংস্থাটি বলছে, ওমানের অনেক বাড়ির দরজার আড়ালে বন্দী হয়ে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিকরা। দাসত্ব, যৌন নির্যাতন, মারধর, বেতন না দেয়ার তো অনেক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা।

১৩ জুলাই বুধবার একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আসমার মতো ৫৯ জন অভিবাসী শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এদের অনেকেই বলেছেন, তাদের পাচার করে বা জোর করে কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের মালিকরা বলেছেন, তাদের তারা কিনে নিয়েছেন।

অভিবাসী শ্রমিকদের রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ওমানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

তথ্যসূত্র

বিবিসি বাংলা : ওমানে গৃহবন্দী বিদেশী গৃহকর্মীরা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ : Oman: Domestic Workers Trafficked, Trapped

Similar Posts

error: Content is protected !!