আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
হাওরে পালতোলা নৌকা এখন আর তেমন দেখা যায় না। হাজার বছরের ঐতিহ্য যান্ত্রিকতায় হারিয়ে যাচ্ছে।
বর্ষা কিংবা শীতে নদীতে পালতোলা সারি সারি নৌকা চলার দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। হাওরের বাতাসে শোনা যায় না দাঁড় মাস্তুলের গুন্জন। মাঝি-মাল্লার কণ্ঠে ভাটিয়ালীর সুর। সেখানে ইন্জিনের ভট ভট শব্দ আর ধোঁয়ায় কলুষিত নির্মল বাতাস।
তবে মাঝে মাঝে নিকলী উপজেলার সোয়াইজনী কিংবা দামপাড়ার নরসুন্দাতে হাতেগোনা কয়েকটি পালের নৌকা চোখে পড়ে।
বর্ষায় নদী পারাপারের জন্য দামপাড়া বাজার ঘাট থেকে পারাপারের কাজ করে আলী মাঝি, কালাম, কালাচানসহ আরো অনেকে। এরা দাঁড় টেনে কামালপুর, মির্জাপুর, দামপাড়া, মজলিশপুর, কারপাশা, শান্তিপুর, জালালপুরসহ আশপাশের গ্রামে পারাপার করে থাকেন।
বর্ষার এ সময়টায় এলাকায় তেমন কাজকর্ম থাকে না। অবসর সময় না কাটিয়ে তারা হাতেটানা নৌকা চালিয়ে কিছু উপার্জনের আশায় থাকেন। প্রবল বাতাসে কিংবা স্রোতের উল্টোপথে মনের সুখে পালতোলা নৌকা চালান। পরিশ্রম কম হয়। একটু সুখ পাওয়া যায়।