আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টির প্রধান শিক্ষকের পদ সাত-আট বছর ধরে শূন্য। একই সঙ্গে এই ১৫টি বিদ্যালয়ে ৩৫টি সহকারী শিক্ষকের পদেও লোকবল নেই। এতে বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিংপুর, গোড়াদীঘা, পূর্ব সিংপুর, ধিওরাইল, চেত্রা, দৌলতপুর, জারুইতলা ১ নং কামালপুর, পূর্ব সিংপুর, বনমালীপুর, দক্ষিণ জারুইতলা, আঠারবাড়িয়া, দক্ষিণ ছাতিরচর, মধ্য গুরুই, গুরুই পূর্বপাড়া ও সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পদগুলো শূন্য রয়েছে।
দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মো. হাছেন আলী বলেন, বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকের পদ থাকলেও আছেন চারজন। তাই পাঠদানের পাশাপাশি তাঁকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। গোড়াদীঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ প্রায় আট বছর ধরে শূন্য। এ কারণে ক্লাস রুটিনের নির্ধারিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেদিন দাপ্তরিক কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসতে হয়, সেদিন রুটিনে থাকা আমার ক্লাস হয় না। কারণ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক নেই। প্রতি মাসেই চার-পাঁচ দিন এ রকম হয়ে থাকে।’ অন্য যে বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই, সেগুলোরও একই অবস্থা।
নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের ভূঞা বলেন, ‘প্রতি মাসেই এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে সেখান থেকে আমাদের জানানো হয়, কিন্তু নিয়োগ হয় না।’
সূত্র : নিকলীতে শিক্ষকের ৫০ পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত, প্রথম আলো