অবৈধ অটোরিকশা ও ধারণক্ষমতার বেশি রিকশায় যানজট কিশোরগঞ্জে

jam kishoreganj

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কিশোরগঞ্জ শহরে ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা ও রিকশার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া সড়কের ওপরে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড। ফলে অস্বাভাবিক যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে পৌরবাসী। সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পৌর শহরে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে। এর একটা বড় অংশ আশপাশের করিমগঞ্জ, তাড়াইল, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া ও নান্দাইল উপজেলা থেকে আসে। পাশাপাশি শহরে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পা-চালিত রিকশার লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। এটাও যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন শহরবাসী।

এদিকে নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করছেন না গাড়ির মালিক ও শ্রমিকেরা। তাঁরা শহরের বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটির স্ট্যান্ড। আর শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রধান সড়কের ওপর বড় বড় ট্রাক দাঁড় করিয়ে মালামাল ওঠানো ও নামানো হয়। এতে শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে গত বুধবার দেখা যায়, শহরের একরামপুর বাসস্ট্যান্ড, সতাল, পুরান থানা, গৌরাঙ্গ বাজার, স্টেশন রোড, রথখোলা সড়ক, কাচারি মোড়, তেরিপট্টি মোড়, বড় বাজার, মোরগ মহল, জাহাঙ্গীর মোড়, আখড়া বাজার মোড়, হারুয়া, কালীবাড়ি মোড়, কাচারি বাজার, বটতলা মোড় ও সদর হাসপাতাল এলাকায় যানজট সবচেয়ে বেশি।

jam kishoreganj

যানজটে পড়ে লোকজনকে দীর্ঘ সময় পথে আটকা থাকতে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে একরামপুর পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটারের পথ। যানজটের কারণে এটুকু পাড়ি দিতেই সময় লাগছে ৪০ মিনিট থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা। পৌরসভার বত্রিশ এলাকার বাসিন্দা সুলতান আমিন বলেন, সতাল থেকে একরামপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার পথ অটোরিকশায় আসতেই তাঁর এক ঘণ্টার বেশি লেগে যায়। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে নেমে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি হেঁটে গন্তব্য গৌরাঙ্গ বাজার মোড়ে পৌঁছান।

স্কুলশিক্ষক ফারহানা রহমান বলেন, সব সময়ই শহরে ব্যাপক যানজট থাকে। ফলে বিশেষ করে চাকরিজীবী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের খুব কষ্ট হয়। তারা সময়মতো গন্তব্যে যেতে পারে না। শহরকে যানজটমুক্ত করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক মো. আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় তা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। শহর থেকে অবৈধ অটোরিকশা সরানোর দায়িত্ব পৌরসভার। কিন্তু বারবার তাগিদ দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই শহরের ভেতরে ব্যাটারিচালিত এসব অবৈধ অটোরিকশা ও রিকশা নিষিদ্ধ করা হবে। তখন আর যানজট থাকবে না। তিনি বলেন, বাইরের কোনো অটোরিকশাকে শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে পৌরসভার ভেতরের অটোরিকশাগুলোকে করের আওতায় এনে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
সূত্র : অবৈধ অটোরিকশা ও স্ট্যান্ডে যানজট, প্রথম আলো

Similar Posts

error: Content is protected !!