কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জ শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মো. নূরুল হক এবং সহকারী শিক্ষক মো. শাহজাহানকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন ও তার ভাগ্নে হোসেন পারভেজ লস্কর নূর মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে প্রধান শিক্ষক পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এদিকে হামলাকারিদের বিচার দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্রী শনিবার ২০ আগস্ট শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা হামলাকারিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহজাহানের সরকারি বালক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে শাহরিয়ার আহম্মদ শান্ত শহরের আখড়াবাজারে ঝুলনমেলায় একটি ব্লেন্ডার কিনতে যায়। এ সময় সেখানে পারভেজ লস্করের হাতে একটি ব্লেন্ডার দেখে সেটি দেখতে চাইলে সাথে সাথে তাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে শিক্ষক বাবা মো. শাহজাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে পারভেজ লস্করকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই তাকেও চুল ধরে টানাহেচড়া করা হয়। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হককে জানালে তিনি আরো কয়েক সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও পারভেজ লস্কর ও তার মামা ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। প্রধান শিক্ষক পরদিন পুলিশ সুপারের কাছে দেয়া এক স্মারকলিপিতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে এর বিচার দাবি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্রী শনিবার ক্লাস বর্জন করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হামলাকারিদের বিচার দাবি করেছে। এরপর বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
হামলার খবর জানতে পেরে সদর উপজেলার সব হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে সভায় মিলিত হন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনকে প্রশ্ন করলে তিনি শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, শান্ত নামে ছাত্রটি পারভেজ লস্করের হাত থেকে বাম হাতে ব্লেন্ডারটি নিয়ে আবার বাম হাতে ফেরত দেয়। এর জন্য শান্তকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা গিয়ে আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন। আসলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টিকে জটিল করছে। আমি এই কমিটির বিরুদ্ধে একটু দৌড়াদৌড়ি করছি বলে আমার বিরুদ্ধে তারা ক্ষ্যাপা।