নিকলীতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে স্কুলছাত্র হাসপাতালে

injured student nikli

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

দুই স্কুলশিক্ষকের বেত্রাঘাতে নাঈম (১৬) নামে নবম শ্রেণির ছাত্রকে অজ্ঞান অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ৩১ আগস্ট বেলা আড়াইটায় স্কুল প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে। আহত নাঈম উপজেলার দামপাড়া কেএমইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাণিজ্য শাখার ছাত্র এবং একই ইউনিয়নের সাহেবের হাটির ইনছাব আলীর ছেলে।

জানা যায়, বুধবার টিফিন শেষে কৃষিবিজ্ঞান ক্লাস চলাকালীন উপজেলার দামপাড়া কেএমইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র নাইম শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ্যতার কারণে বেঞ্চে মাথা রেখে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। শ্রেণিশিক্ষক মামুন স্যার নাঈমকে পেছন থেকে বেত্রাঘাত করেন। নাঈম তার অসুস্থতার কথা জানালে নাঈমকে শিক্ষক মামুন বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন। শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে নাঈম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে তাকে বেত্রাঘাতের কথা জানালে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন তাকে শিক্ষক মামুনের কাছে মাফ চাইতে বলেন। সে মাফ না চেয়ে শাস্তি চাইলে প্রধান শিক্ষক নাঈমকে উপর্যুপরি বেত্রাঘাত করতে থাকেন।
injured student nikli
বেত্রাঘাত থেকে বাঁচতে নাঈম দৌড় দিলে কাছের দোকানের সামনে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তার সহপাঠিরা নাঈমকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করে। এ প্রতিবেদক হাসপাতালে ভর্তি নাঈমকে দেখতে গেলে নাঈমের সহপাঠি প্লাবণসহ কয়েকজন এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেয়।

বিদ্যালয়ের কৃষিশিক্ষক মামুন মুঠো ফোনে বেত্রাঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নাঈম নেশাগ্রস্ত হয়ে ক্লাসে এসেছিলো বলে আমি শুধু তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেছি। বেত্রাঘাত করিনি।

প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, মামুন স্যারের ব্যাপারে আমার কাছে নাঈম বিচার দিতে আসলে আমি তার অবস্থা দেখে তাকে স্যারের কাছে মাফ চাইতে এবং বাড়ি যেতে বলি। বেত্রাঘাত করলেও সে মামুন স্যারের কাছে মাফ চাইতে পারবে না বলে আমাকে জানালে আমি তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেছি মাত্র। সুস্থ্য অবস্থায়ই সে স্কুল প্রাঙ্গন ত্যাগ করেছিলো। যদি হাসপাতালে গিয়ে থাকে তবে তা দুষ্ট লোকের প্ররোচনায়।

হাসপাতালে কর্তব্যরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার খন্দকার ইমরান হোসেন বলেন, কয়েকটি বেতের আঘাত দেখেছি, এমন কিছু নয়। ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!