আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
জাল স্বাক্ষরে ভুয়া কোটেশন ও বিল ভাউচার দেখিয়ে এলজিএসপির ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের সদ্যসাবেক চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ৩১ আগস্ট দুপুরে কিশোরগঞ্জের ৪নং আমল গ্রহণকারী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলাউল আকবর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের রথখলা এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এই গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বাদলা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিকুন্নাহারের দায়ের করা অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী গত বছরের ১৯ এপ্রিল ইটনা থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
দু’টি মামলাতেই বাদলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরী, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাহিমা আক্তার এবং ইউপি সচিব সুমন মিয়াকে আসামি করা হয়। এছাড়া একটি মামলাতে এই তিন আসামির সাথে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর একাধিকবার অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরীকে নোটিশ দেয়া হলেও তিনি সেসবের কোন জবাব না দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাদলা ইউনিয়নকে এলজিএসপির ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরী জাল স্বাক্ষরে ভুয়া কোটেশন ও বিল ভাউচার দেখিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। এর জন্য করিমগঞ্জ বাজারের মো. মোফাচ্ছেরের ইসলাম ট্রেডার্স, মো. খোকন মিয়ার নাসির এন্ড সন্স এবং করিমগঞ্জের ন্যায়ামতপুর বাজারের মো. রফিকুলের তৌহিদ ট্রেডার্সের নামে ভুয়া কোটেশন দেখিয়ে ২০১৩ সালের ৩০ জুন তারিখে ইটনার সোনালী ব্যাংকের ৯১৩ নং একাউন্ট থেকে ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন। অথচ কোটেশনকারিরা ইউনিয়েনের কোন ওয়ার্ডে কোন রকম কাজই করেননি। সমুদয় টাকাই চেয়ারম্যান মামুন চৌধুরী আত্মসাত করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী সরেজমিনে তদন্তশেষে ইটনা থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নূর আলম সিদ্দিকী এ ব্যাপারে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সূত্র : হাওরের খবর এফবি ওয়াল