আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা দেশে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়াতে সর্বোত্তম আগাছানাশক ব্যবহার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা রিসার্স ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এ মজিদ বলেন, ‘কনজারভেশন এগ্রিকালচার ভিত্তিক (সিএ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কার্যকর আগাছা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা দরকার। তাহলে ধান এবং অন্যান্য শস্য উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।’ বাসস
গবেষণা তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আগাছার অবাধ বৃদ্ধির কারণে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ সিমজাতীয়, ৩১ দশমিক ২ শতাংশ ডালজাতীয়, ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ তেলবীজ এবং ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ আঁশজাতীয় শস্যসহ ৩৭ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ৩২ দশমিক ২ শতাংশ খাদ্যশস্য বিনষ্ট হয়।
তিনি বলেন, নিরাপদ আগাছানাশক ব্যবহার ও কার্যকর আগাছা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বিষয়ক প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং আগাছা নাশক ব্যবসায়ীদের জ্ঞানগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শস্য সুরক্ষা করা যাবে।
ব্র্যাকেট ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সহকারী পরিচালক ও কৃষি উপদেষ্টা ড. মজিদ বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, বিভিন্ন ধরনের আগাছা বৃদ্ধির কারণে শস্যের ক্ষতি নিয়ে তথ্য তুলে করেন।
তিনি আগাছার বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য, আগাছা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, আগাছানাশকের কার্যকারিতা, আগাছা প্রতিরোধ, আগাছানাশকের উপাদানগত গঠন, আগাছা নিরোধক ছিটানো পদ্ধতি এবং আগাছা নিরোধের পরিমাণ সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
ইন্টারন্যাশনাল মেইজ এ্যান্ড হুইট ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারের সমন্বয়ক আনারুল হক শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কার্যকরভাবে আগাছা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য সিএ-ভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।