বিশেষ প্রতিনিধি ।।
ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে নিকলী থানার এএসআইয়ের উপর্যুপরি চড় থাপ্পড়ে বাবুল সূত্রধর (৩৫) নামে এক সিএনজিচালিত অটো রিকশার ড্রাইভার আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে। ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ১২টায় নিকলী থানা কমপ্লেক্সের সামনে এএসআই নজরুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটায়। আহত বাবুল সূত্রধর উপজেলা সদরের ষাইটধার গ্রামের সুলতা সূত্রধরের ছেলে। তার কানের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর সকালে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত বাবুল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণের উদ্দেশ্যে নিকলী থানার এএসআই নজরুল নিকলী টু কিশোরগঞ্জ সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিকলী স্ট্যান্ড থেকে বাবুল সূত্রধরের সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ভাড়া করেন। বাবুল আসামিসহ ৩ কনস্টেবলকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে যান। রাতেই কনস্টেবলসহ নিকলী থানায় ফিরে আসেন।
বাবুলকে ৮শ টাকা ভাড়ার স্থলে ৫শ টাকা দেন এএসআই নজরুল। বাবুল ৮শ টাকা চাইলে এএসআই নজরুল আরো ৩শ টাকা দিয়ে উপর্যুপরি চড় থাপ্পরে বাবুলকে আহত করেন।
এরপর ডি/এল প্রদর্শনে ব্যর্থ, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, ইন্স্যুরেন্স না থাকাসহ ৫টি অপরাধে বাবুলের নামে মামলা ঠুকে দেন। আহত বাবুল গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ওপর জ্ঞান হারালে বাবুলের সতীর্থ মকবুলসহ কয়েকজন গিয়ে বাবুলকে রাতেই নিকলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বাবুলের পরিবার সূত্রে জানায়।
এএসআই নজরুল ইসলাম জানান, বাবুলকে মামলা দেয়ার কারণে সে ষড়যন্ত্রমূলক নাটক সাজিয়েছে। তাকে কোন মারধোর করা হয়নি।
নিকলী থানার ওসি মুঈদ চৌধুরী বাবুলকে মারের কথা অস্বীকার করে বলেন, নিকলী থেকে কিশোরগঞ্জের দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। ওরা ৩শ টাকায় যায়, একই টাকায় আসে। আসা-যাওয়ার ভাড়া হিসাবে ৬শ টাকা হয়। থানায় রেগুলার গাড়ি লাগে। সেই হিসাবে বাবুলকে ৫শ টাকা দেয়া হয়েছিলো। অবৈধভাবে গাড়ি চালানোর দায়ে তাকে অভিযুক্ত করায় হয়তো সে এখন নাটক সাজাচ্ছে।