কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ এর তালিকায় রবিদাস সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিদাস উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে শহরের কালিবাড়ি মোড়ে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি কাজল রবিদাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি দীলিপ রবিদাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপন রবিদাস, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা দুলাল রবিদাস, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত রবিদাস প্রমুখ বক্তৃতা করেন। পরে তারা তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মাকরলিপি দেয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশে আনাচে-কানাচে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক রবিদাস জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বঞ্চিত ও অবহেলার চক্রে ঘুরপাক খেতে খেতে তাদের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। মুক্তিযুদ্ধে রবিদাস সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
সারা দেশে রবিদাস জনগোষ্ঠীর ৮ লক্ষাধিক সদস্য রয়েছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রথাগুলো প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সুপারিশ, জেলা প্রশাসকদের প্রেরিত নৃগোষ্ঠীর তালিকা, এশিয়াটিক সোসাইটির গবেষণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনায় রবিদাস সম্প্রদায়কে আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করলেও সরকারের গেজেটে তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
২০১০ সালে চূড়ান্ত হওয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আইনেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে বাদপড়া নৃ-গোষ্ঠীদের গেজেটভুক্তির দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আইনটি সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু সর্বশেষ খসড়া তালিকায়ও তাদের ঠাঁই হয়নি। এ অবস্থায় রবিদাস জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য স্মারকলিপিতে দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে রবিদাস সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অংশগ্রহণ করে।