মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর সংবাদদাতা।।
দরিদ্রতায় জর্জরিত এক শিশু জীবনযোদ্ধার নাম সায়িদ। দরিদ্রতা শব্দটিই যাকে খাতা-কলম ছেড়ে শিশু বয়সে রাস্তায় কলা ঝুলি বয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। বাধ্য করেছে পরিস্হিতির টানাপোড়েনে কলা ঝুলি ভরে বিক্রি করতে রাস্তায় রাস্তায়।
কতটা মন্দ পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে একজন শিশু রাস্তায় নামে কলা ঝুলি ভরে বয়ে খুচরা মূল্যে বিক্রি করতে!
এমনই এক বাবা সরাজ ও মা সুফিয়ার নয় বছরের জীবনযোদ্ধা ছেলের নাম মো. সায়িদ। সাত সদস্যের পরিবারে তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সায়িদ চতুর্থ। পৃথিবীটা হালুয়াঘাটে। পরিবারের অন্যান্য বোন পেট ভরে দুইবেলা খাওয়ার আশায় বাসায় বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে।
পরিবার বলতে সায়িদ এখন হতদরিদ্র নানার বাড়িতে খালার সাথে থাকে। বাবা সরাজ চিকিৎসার অভাবে শ্বাসকষ্টে ভোগে মারা গেছেন প্রায় দুবছর
আগে। পরিবারের অতিরিক্ত খরচ, অধিক সদস্য ও আর্থিক অচ্ছলতার কারণে মুছে গেছে তার স্বপ্ন, ভেঙ্গে গেছে পরিবার। যে বয়সে সমবয়সীদের সাথে বই, খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা, সে বয়সে আর্থিক সংকটে নানার বাড়ির আশপাশের লোকদের সাথে সরারচর রেলওয়ে স্টেশন আর রেলগেইট এলাকায় কলা বিক্রি করছে।
দিন শেষে উপার্জিত লাভের টাকা দিয়ে কোন রকম চলছে বর্তমান সংসার। শিশু বয়সের এ সাহসী জীবনযোদ্ধা সায়িদের সাথে কথা হলে জীবন ও পরিবার সম্পর্কে সঠিক তথ্যের পাশাপাশি সে জানায়, জন্মের পর জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগুলোর মাঝে ভালোবাসা ও স্নেহের খুব অভাব। ভবিষ্যতে সে আর্থিকভাবে সচ্ছল ও সুন্দর গোছানো একটি পরিবার দাঁড় করাতে চায়।