মহসিন সাদেক, লাখাই (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা ।।
লাখাই উপজেলায় বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন গ্রামে তা বন্ধ হয়নি। এরই মাঝে উপজেলা প্রশাসন খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে। বাল্য বিবাহ বন্ধে প্রশাসনসহ সুশীল সমাজ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর বাল্য বিবাহের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত বরসহ বরের ও কনের পিতা এবং ঘটককে কারাদণ্ড প্রদান করেছে। সেই সাথে তাদেরকে অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়েছে।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হুসাইন তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর সোহেল মিয়া, বরের পিতা মাহাজ উদ্দিন, কনের পিতা হানিফ মিয়াকে ১৫ দিনের করাদন্ড ও প্রত্যেককে এক হাজার টাকা জারিমানা করেন। এসময় ঘটক শিশু মিয়াকে ২০ দিনের কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়।
একই দিন পুলিশ আসামিদের জেলা হাজাতে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, তিন দিন আগে উপজেলা শিবপুর গ্রামে হানিফ মিয়ার কন্যা শাবানা বেগম (১৪)-এর সাথে সুজনপুর গ্রামে মাহাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সোহেল মিয়ার বিয়ে হয়। খবর পেয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে এসআই মাহাজারুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে উপরোক্ত আদেশ প্রদান করা হয়।
অপর দিকে উপজেলা বামৈ গ্রামের রাজ মোহন সরকারের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যার বিয়ে ঠিক করার অপরাধে কনের পিতাকে ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে অঙ্গীকার করলে তাকে রেহাই দেয়া হয়।