নিকলীর কমিউনিটিসহ ২০টি ক্লিনিকেই বিদ্যুৎ নেই

purbogram community clinic

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকারী ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কোনটিতেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। চলছে নামমাত্র কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি বিদ্যুতের সংযোগ না থাকলেও কর্তৃপক্ষের নেই কোন জোরালো উদ্যোগ। ফলে উপজেলার প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৪টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। এসব ক্লিনিকে প্রতিদিন  গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। এদের মধ্যে গর্ভবতী, শিশুরোগ, ডায়াবেটিকের চিকিৎসাসহ নানান রোগের পরীক্ষাসহ ৩০ প্রকার ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে।
purbogram community clinic
প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সরবরাহ করা হয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। স্বাস্থ্য তথ্য প্রদান করার জন্য ক্লিনিক প্রধানদের (সিএইচসিপি) দেয়া হয় ল্যাপটপ। বছর চারেক আগে উপজেলার সবকটি ক্লিনিকে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং সম্পন্ন হলেও এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগের নাম নেই। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় যন্ত্রপাতির নেই ব্যবহার।

প্রচণ্ড গরমে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করেন নাভিশ্বাস নিয়ে। গরমজনিত রোগীরা হয়ে ওঠেন আরো বেশি অসুস্থ। চিকিৎসা প্রদানকালে ক্লিনিক কক্ষে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সেবাদান হয়ে উঠে দুরূহ। কোনো নৈশপ্রহরী না থাকায়  ক্লিনিকের নিরাপত্তাও থাকে হুমকির মুখে।
kursha community clinic
কুর্শা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শিহাব উদ্দিন জানান, সরকারের দেয়া ল্যাপটপটি বাড়ি থেকে চার্জ দিয়ে নিয়ে আসেন। পূর্বগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিকের শিমূল খান মনিরও জানান একই সমস্যার কথা। তিনি এ প্রতিনিধিকে আরো বলেন, শুধু চাকরির সুবাদেই নয়, স্বতস্ফূর্ত সেবার মানসিকতা থাকলেও বিদ্যুতের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। মনের তৃপ্তিও পাচ্ছি না সেভাবে।

নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এএসএম আনওয়ারুর রউফ জানান, ২০১৪ সালে বিদ্যুৎ সংযোগের জামানত দেয়া হয়েছে। তাগাদার পর তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না।

Similar Posts

error: Content is protected !!