আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ ৬টি অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তা নেই। দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রধান কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় অফিসগুলোর কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে পুরো উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম নানা সমস্যায় চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম নিকলী থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। তার বদলির পর জেলার বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেডএম শারজিল হাসান অতিরিক্ত নিকলীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটিও দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এ পদটিরও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বাজিতপুরের ইউএনও এজেডএম শারজিল হাসানের একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ এই ৩টি দায়িত্বই পালন করতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমএ জলিল ২০১২ সালের আগস্টের ১ তারিখ থেকে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় রয়েছেন ডেপুটেশনে। সাড়ে ৩ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য থাকলেও দেয়া হচ্ছে না নতুন লোকবল।
জনস্বাস্থ্য প্রকেীশলীও নেই দীর্ঘ দিন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান গত মাসে বদলি হলে অদ্যাবধি এই পদটিও শূন্য। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে নিকলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. খালেদুজ্জামান পিআরএলে চলে গেলে অদ্যাবধি এ পদেও আর কোনো লোকবল দেয়া হচ্ছে না।
প্রশাসনিক এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে লোকবল না থাকায় এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় দালালচক্রের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এ উপজেলায়। গুরুত্বপূর্ণ পুকুর, খাল, নামা জমির শ্রেণি পরিবর্তন, পরিবর্তন না করে ভরাটের মাধ্যমে নষ্ট করছে পয়নিঃষ্কাশন ব্যবস্থা। নানাবিধ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে উপজেলা জুড়ে।
সূত্র : ৬ শীর্ষ কর্মকর্তার পদ শূন্য (মানবজমিন, ১৮ অক্টোবর ২০১৬)