বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে উমা খান (২৪) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উমা খান উপজেলার বদরপুর গ্রামের আহেদ আলীর কন্যা এবং উত্তর দামপাড়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী দিদার ভূইয়ার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর সকালে নিকলী থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে একই দিন কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে দিদার ভূইয়াসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত ৪ বছর আগে উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আহেদ আলীর বড় কন্যার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী দামপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দামপাড়া ভূইয়াবাড়ি গ্রামের কাদির ভূইয়ার ছেলে ধান ব্যবসায়ী দিদার ভূইয়ার সাথে। যৌতুক হিসাবে দেয়া হয় নগদ ৬০ হাজার টাকা। বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দিতে দিদার ভূইয়া ও তার বাবা-মা উমা খানের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন।
উমা কয়েক দফা টাকা এনে দেন। দুই বছর আগে উমা-দিদারের সংসারে সাউদা নামে এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়। দিদারও তার পরিবার টাকা চেয়ে পুনঃচাপ দিলে উমা খান বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ স্বামী দিদারের পরিবারের সাথে উমার মন কষাকষি চলে।
বৃহস্পতিবার ভোরে দিদারের পরিবার থেকে লোক পাঠিয়ে পিতা আহেদ আলীকে ফাঁসি দিয়ে উমার আত্মহত্যার খবর পাঠানো হয়। মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে পিতা আহেদ আলী জ্ঞান হারান। বাড়ির লোকজন উমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়নায় উমার লাশ ঝুলতে দেখেন। এ সময় উমার পা দু’টি ভাঁজ হয়ে খাটের উপর লেগে থাকায় তাদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। নিকলী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
উমার পিতা আহেদ আলী জানান, উমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। উমা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।