আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দলই নয়, হাজার হাজার নেতাকর্মী, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তের অনুভূতি। বাসস
দলীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু একটা রাজনৈতিক দল নয়, এটা অনুভূতি। এই হাজারো বন্ধুর রক্ত, চার নেতার রক্ত, ভাষা আন্দোলনের রক্ত, সেই অনুভূতি। এই অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে নাম আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মীরা যে পরিমাণ রক্ত দিয়েছেন, পৃথিবীর আর কোনো দল এমন রক্ত দেয়নি ও এতো ত্যাগ স্বীকার করেনি।’
সৈয়দ আশরাফ শনিবার ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি সকল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য এদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এরপরেও কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করতে পারে নাই এবং কোনো দিনই পারবে না। শেখ হাসিনা যতদিন আছেন উনিই নেতৃত্ব দেবেন। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরবে না। আওয়ামী লীগ অজেয় রাজনৈতিক সংগঠন।
তিনি বলেন, ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আওয়ামী লীগের আমি সন্তান। আওয়ামী লীগের ঘরেই আমার জন্ম। আওয়ামী লীগ যখন ব্যথা পায়, আমারও কিন্তু হৃদয়ে ব্যথা লাগে। আওয়ামী লীগের একটা কর্মী যদি ব্যথা পায় সেই ব্যথা আমিও পাই।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমি দুই দুই বার সম্পাদক ছিলাম। শেখ হাসিনার উপদেশে দল পরিচালনা করেছি। আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো ভাঙন ধরেনি, কোনো কন্সপিরিসিজম তৈরি হয়নি। আমরা সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমি এবং আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেছি। আজকে আমাদের দল যে কোনো সময়ের থেকে শক্তিশালী।
বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ আশরাফ সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনটি অনেক বড় হওয়ায় সেটি পাঠ না করে কাউন্সিলরদের প্রতি পুরো প্রতিবেদনটি পড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন পড়তে অনেক সময় লাগবে। তাই আপনারা এটি সাথে করে নিয়ে যাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলন একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন। আগামী দিনের দল পরিচালনা ও দেশের উন্নয়নের যুগান্তকারী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নেয়া হবে এখান থেকেই।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আজকে এমন একটি দিনে কাউন্সিল হচ্ছে যখন দেশ নিয়ে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীর মাধ্যমে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এই অশুভ শক্তি। চক্রান্ত চলছে একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনার, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার।
তিনি এই অশুভ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।