আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগণের একটি নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ এর সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বাসস
মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে সংজ্ঞায় বলা হয়েছে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন”।
প্রজ্ঞাপনানুযায়ী যে সমস্ত ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যে সকল বাংলাদেশী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যে সকল বাংলাদেশী বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা বা কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সাথে সম্পৃক্ত এমএনএগণ ও এমপিএগণ (গণপরিষদ সদস্য), পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত নারীগণ (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ এবং দেশ ও দেশের বাহিরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশী সাংবাদিকগণ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়বৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের ডাক্তার, নার্স ও সহকারিবৃন্দ রয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ২৬-০৩-১৯৭১ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।