নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও শিশু পূজাকে পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে নিকলীতে মানববন্ধন হয়েছে। নিকলী সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নেন নিকলীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হিন্দু-মুসলমানসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নিকলী শহীদ সরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ মন্দিরের দায়িত্বশীলরা।
মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন উপজেলা সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি ও এবি নূরজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান উল্লাহ্, মুক্তিযোদ্ধা কালিদাস সূত্রধর, মুক্তিযোদ্ধা আরব আলী, উপজেলা বাসদ নেতা কমরেড সাজেদুল হক সেলিম, সচেতন নাগরিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সঞ্জয় সাহা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী ফ্রন্ট নেতা আঙ্গুর মিয়া, যুবলীগ নেতা কাউসারুল আলম, আল আমিন, মোঃ কাউসার, সানি সূত্রধর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতন করছে। দুষ্কৃতকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, গোপালগঞ্জ, মাগুরাসহ দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু সরকার এ সব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
বক্তারা আরো বলেন, এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। যদি সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।