নিকলীতে মহিলা এনজিও কর্মী নিখোঁজ, ৪ দিনেও মিলছে না হদিস

farjana akter jemi

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

মাঠে কাজ করতে গিয়ে ফারজানা আক্তার জেমি (২৪) নামের এক এনজিও কর্মী নিখোঁজের ৪ দিনেও মিলছে না কোন হদিস।

নিখোঁজ ফারজানা আক্তার জেমি কিশোরগঞ্জের নিকলীতে কর্মরত সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এসএসএস)-এর একজন মাঠ সংগঠক। তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের শামছুল হকের মেয়ে বলে জানা যায়। কর্মী নিখোঁজের ঘটনায় সংগঠনটির শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামীম মিয়া সোমবার ৮ নভেম্বর রাতে নিকলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।

এসএসএস নিকলী অফিস সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ফারজানা আক্তার জেমি প্রায় ২ বছর আগে সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এসএসএস)-এর নিকলী শাখা অফিসে মাঠ সংগঠক হিসাবে যোগদান করেন। গত ৬ নভেম্বর বিকাল ৪টায় পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ভূনা মহিলা সমবায় সমিতিতে যাওয়ার কথা বলে অফিসের মুভমেন্ট খাতায় স্বাক্ষর করে বের হন। পরদিন পর্যন্ত অফিসে না ফেরায় এসএসএস-এর নিকলী কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য স্থানে তার খোঁজ খবর নেয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ জেমির কোনো সন্ধান না মেলায় নিকলী থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়।

farjana akter jemi

সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এসএসএস) নিকলী শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামীম মিয়া বলেন, প্রায়শই বিকাল বেলায় কর্মীরা মাঠে অসম্পূর্ণ কাজ সম্পাদনে যান। যথারীতি ফিরেও আসেন। জেমির ক্ষেত্রে কি হয়েছে তাকে না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

সংগঠনটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক রফিক বলেন, খোঁজ খবর নিচ্ছি। জিডি করা হয়েছে থানায়। আশা করছি শিগগিরই তার খোঁজ পাবো।

নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুঈদ চৌধুরী জানান, সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। আমরা সব থানায় কপিও পাঠিয়েছি।

Similar Posts

error: Content is protected !!