নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
নিকলীতে বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর পপি-রিকল প্রকল্পের ছাতিরচর ও গুরই ইউনিয়নের সিবিও পর্যায়ে প্রান্তিক নারী কৃষকদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ করা হয়। সিবিও পর্যায়ে নারী কৃষকদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ, সাংবাদিক এম হাবিবুর রহমান, সিবিও পর্যায়ের নারী কৃষক সদস্য, রিকল প্রকল্প-এর ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটরগণ, প্রকল্প সমন্বয়কারী মোশারফ হোসেন খাঁন, টেকনিক্যাল অফিসার রেশমা পারভীন।
রিকল প্রকল্পের কর্ম এলাকায় নিকলী উপজেলার ২টি ইউনিয়ন ও মিঠামইন উপজেলা সদরে ২১টি সিবিওতে নারী কৃষকদের মাঝে এই সবজি বীজ বিতরণ করা হয়। প্রতিটি সিবিওতে ২০ জন নারী কৃষকদের বীজ দেয়া হয়। মোট ৪২০ জন নারী কৃষককে এই বীজ বিতরণ করা হয়।
কর্ম এলাকায় সিবিও পর্যায়ে নারী কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী মোট ৪ ধরনের বীজ সরবরাহ করা হয়। মিষ্টি কুমড়া, ডাটা শাঁক, হাইব্রীড মূলা ও লাল শাঁক। বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম বলেন, পপি-রিকল প্রকল্পের সকল কার্যক্রম অনেক প্রশংসার দাবীদার। তারা কর্ম এলাকায় অনেক ভাল কাজ করে। বিশেষ করে নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তারা যেভাবে কাজ করছে তাতে নারীদের অনেক পরিবর্তন এসেছে। নারীরা কৃষিকাজে সহযোগিতা পাচ্ছে। পপি-রিকল প্রকল্প যাতে আরো ভাল কাজ করে সেই আশা করি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, পপি-রিকল পকল্প প্রান্তিক পর্যায়ে নারী কৃষকদের মাঝে যে সবজি বীজ বিতরণ করছে তা আসলেই একটা ভাল উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। নারীদের এই কাজে আরো এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিকাজে আপনাদের যে কোনো সহযোগিতা করার জন্য আমরা আছি। কৃষিকাজে যে কোন সমস্যা বা পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমাদের কাছে আসবেন। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজ করেন। তাদের কাছে যাবেন।
গুরই ইউনিয়নের শাপলা সিবিওর সভাপতি সালেহা বেগম বলেন, আমরা পপি-রিকল প্রকল্পের কাজ থেকে প্রতিবছর এই বীজ পেয়ে আসছি। এই বীজ পেয়ে আমাদের খুব উপকার হয়। আমরা বীজ দিয়ে ফসল ফলিয়ে নিজেদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকাও আয় করতে পারি।
ছাতিরচর ইউনিয়নের একতা সিবিওর সদস্য মরবানু বলেন, আমরা এই বীজ পেয়ে খুবই উপকৃত হই। বীজ দিয়ে সবজি করে আমার মতো অনেক নারী বাজারে বিক্রি করে অনেক আয় করছে। আমরা আমাদের বাজারেই এই সবজি বিক্রি করতে পারি।