জোতদার হিসাবে পরিচিত নুরুজ্জামান, আক্কাছ, করিম গং দীর্ঘ দুই দশক যাবৎ ভুয়া কাগজ দেখিয়ে রোদা নদী জলমহালটি সরকার ইজারা দেয়া সত্বেও ইজারাদারকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটে নিয়ে যায়। মিথ্যা মামলা দিয়ে ইজারাদার (স্বপন বর্মণ ও বকুল মিয়া) এবং তাদের লোকজনকে হয়রানি করছে।
উল্লেখিত জোতদার গং মিথ্যা মামলা দেয়ার কারণে সরকারি রাজস্বের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকার থেকে নদীটি ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬শত টাকা বার্ষিক ইজারা মূল্যে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৪২০-১৪২২ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ইজারা দেয়। জলমহালটি ইজারাদারদের সরজমিনে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু জলমহালটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা বকুলকে মেরে ফেলার জন্য ২৩/১১/২০১৪ ইং দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ও কাটা রাইফেল নিয়ে ধাওয়া করে জোতদারের লোকজন। তাদের হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে গুলি করলে বকুল মিয়া দৌড়ে প্রাণে বেচে যায়। তারপর তার বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু গুলির শব্দ শুনে টহলরত পুলিশ চলে আসলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ইজারাদাররা নিরীহ হওয়ায় প্রাণের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছে না। ঘটনার পর জোতদারের লোকজন বকুল মিয়াকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে বকুল মিয়া বাদী হয়ে নিকলী থানায় ২৪/১১/২০১৪ ইং তারিখে জিডি করেছেন। নিকলী থানা জিডি নং-৮০০।
উল্লেখ্য, জারইতলা ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেছেন, রোদার নদী জলমহালটি অদ্যবদি সরকার ইজারা দিয়ে আসছে। এটি কোনো জোত জমি নয়। জলমহালটিতে প্রবেশ না করতে নুরুজ্জামানকে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান নিষেধ করেন।