নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
নিকলীতে একটি টোটো বোর রাইফেল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ রোববার ১১ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় জনতার হাতে আটক পার্শ্ববর্তী করিমগঞ্জ উপজেলার কাকচরী গ্রামের মৃত নবালি ফকিরের ছেলে নবী হোসেন (৫২), মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুখ (৩৫), মৃত ফালু মিয়ার ছেলে উসমান (৪০) ও বি-বাড়ীয়া জেলার রাজাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩৭)। তাদের বিরুদ্ধে নিকলী থানার এসআই জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার সকালে আটককৃতদের কিশোরগঞ্জ কোর্টের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার কাকচরী গ্রামের আলাল উদ্দিন নামে এক কৃষকের একটি ষাঁড় চুরি হয়। গ্রামের নিকটবর্তী বালিখলা বাজারে থাকা উসমানের নৌকাটি নদীর ঘাটে দেখতে না পেয়ে এলাকাবাসী গরু চুরির সাথে উসমানের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয়। রোববার সকালে নিকলী উপজেলার ধনু নদীর মুছাবপুর এলাকায় উসমানের নৌকাটি দেখতে পেয়ে জনতা নৌকাটি আটক করে।
এ সময় নৌকাটিতে তল্লাশি চালালে নৌকার ভিতর থেকে ফাঁকা গুলির শব্দ হয়। উত্তেজিত জনতা একটি টুটু বোর রাইফেল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ তাদের আটকের সময় কাকচরী গ্রামের আ. রহিমের ছেলে খোকন (২৮) পালিয়ে যায়। পালানোর সময় খোকনের হাতেও একটি রাইফেল ছিলো বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
আটক ৪ জনকে মুছাবপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের ঘরে আটকে রেখে সিংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে জানালে তিনি নিকলী থানা পুলিশকে খবর দেন। এসআই জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযুক্তদের একটি রাইফেল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ থানায় নিয়ে আসেন। আটকদের মধ্যে উসমানের নামে করিমগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তবে আটক যুবকরা জলমহালের পাহাড়াদার বলেও একটি পক্ষ দাবি করে।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুঈদ চেীধুরী এ প্রতিনিধিকে জানান, করিমগঞ্জের বালিখলা বাজারের ইজারা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাবার নানা ঘটনা রয়েছে। র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জের কাছেও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাবার এমন একটি ঘটনা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ছিলো বলে শুনেছি। যেহেতু হাতেনাতে অস্ত্র পাইনি তাই ৫৪ ধারায় তাদেরকে চালান দেয়া হয়েছে। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি ।