আবদুল্লাহ আল মহসিন।।
পাঠ্যবইয়ে আবারো ফিরে এসেছে পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের আসমানী কবিতাটি। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বই ‘চারুপাঠে’ কবিতাটি পাঠ্য করা হয়েছে। এর আগে বিগত সাত থেকে আট বছর এই কবিতাটি পাঠ্য কোন পুস্তকে ছিল না।
১৯৪৯ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘এক পয়সার বাঁশি’ প্রকাশিত হলে এই কবিতাটি সেখানে লিপিবদ্ধ ছিলো। পরবর্তিতে এই কবিতাটি মাধ্যমিক স্কুলের বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার পর অবশেষে আবারো কবিতাটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু ততদিনে আসমানীর মৃত্যু হয়ে গেছে।
কবিতাটি লেখার ইতিহাস হলো, ফরিদপুরের ইষানপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম রসুলপুর। সেখানে কবি একবার বেড়াতে গিয়ে দেখা পান আসমানীকে। অতি দরিদ্র আসমানীকে নিয়ে লেখেন কালজয়ী কবিতা। রসুলপুর ছিল আসমানীর স্বামীর বাড়ি। বাপের বাড়ী পার্শ্ববর্তি ভানুরডাঙ্গী গ্রামে। বাবা আরমান মল্লিক আদর করে ডাকতেন আসমানী। পরবর্তীতে কবির হাতে পড়ে আসমানী চলে আসে ইতিহাসের পাতায়।
মাত্র নয় বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে সতীনের ঘর করতেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে ভোগে ২০১২ সালের ১৮ আগস্ট ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বিবিসি বাংলা নিউজ আসমানীর মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে।
দেশেরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তার মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করে। এবার নতুন প্রজন্মের আবারো সুযোগ হয়েছে এই কবিতাটি পড়ার। শিক্ষাবিদদের ধারণা এই কবিতাটি পাঠ করার ফলে শিশুদের মনে হতদরিদ্রদের প্রতি মমত্ববোধের অনূভূতি জাগ্রত হবে।