মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর সংবাদদাতা।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গত কয়েকদিনের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও শীতকে উপেক্ষা করে হাওরবেষ্টিত বাজিতপুরের কৃষকরা দিন-রাত জমিতে সেচ দেয়া, জমিতে চাষ দেয়া, বীজতলা থেকে চারা তোলাসহ বোরো ধান চাষের নানাবিধ কাজে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
হাওরবেষ্টিত এ উপজেলার পৌরশহরসহ ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন চাষ উপযোগী না হলেও বোরো ধান ব্যাপক চাষ উপযোগী। আর তাই মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার উচু অঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বোরো ধান চাষে মাঠে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা।
৭ ও ৮ জানুয়ারি উপজেলার বেশ কয়েকটি মাঠ ঘুরে চোখে পড়ে মাঠে কৃষকদের এ ব্যস্ততার চিত্র। এ সময় আব্দুর রহিম নামের একজন কৃষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ করে বাম্পার ফলনের মধ্য দিয়ে তিনি বিগত সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর অনেক কৃষক তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেও চারা বিক্রয় করতে পারবেন। এ বছর বোরো ধান চাষে খরচ অন্যান্য বছরের চেয়ে কিছুটা কম বলে খানিকটা উজ্জীবিত কৃষকরা। আশঙ্কা শুধু ধান-চালের ন্যায্যমূল্য নিয়ে।
পক্ষান্তরে উপজেলার পৌরশহরের পৈলানপুর গ্রামের কৃষক ওয়াহেদ আলী জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করবেন। সব প্রস্তুতিই প্রায় সম্পন্ন করেছেন। এরই মধ্যে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ধানের চারা বাবদ ৬শ টাকা, জমি চাষ করা বাবদ ৮শ টাকা, দিনমজুর বাবদ ১ হাজার টাকা, সার কেনা বাবদ ১ হাজার ৩শ টাকা। এছাড়া ৩ মাস পানি সেচ বাবদ ২ হাজার টাকা, নিড়ানী ও কীটনাশকসহ নানা ওষুধ বাবদ আরও প্রায় ১ হাজার টাকাসহ ধান কাটা-মাড়াইসহ আরো প্রয়োজন ২ হাজার টাকা। এ নিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে চাষাবাদ বাবদ সর্বমোট খরচ হবে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়াসহ দাম ভালো পাওয়া গেলে এই খরচ আর পরিশ্রম দুই-ই সার্থক হবে বলে তিনি জানান।