বিশেষ প্রতিনিধি ।।
ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে মাহমুদা আক্তার (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীকে মারাত্মক আহত করেছে সংঘবদ্ধ বখাটের দল। মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার পাড়া বাজিতপুর-হিলচিয়া ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে। আহত মাহমুদা আক্তারকে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সহোদর ২ বখাটেকে একই দিন রাতে আটক করে নিকলী থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাড়াবাজিতপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মাহমুদা আক্তারের সাথে বছরখানেক আগে একই গ্রামের মহসীন মিয়ার ছেলে জসীম মিয়ার (২৫) সাথে শরীয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর জসীমের নেশাসক্ত জীবন ও বখাটেপনার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মাহমুদা ও তার পরিবারকে নানাভাবে নির্যাতন করে বখাটে জসীম। অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে এক পর্যায়ে স্থানীয় বিবাহ ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে তালাকও হয় দুজনের। তালাকের পরও জসীম কলেজছাত্রী মাহমুদার পিছু ছাড়ে না। কলেজে যাওয়া-আসার পথে নিত্য বিরক্ত করেও সাড়া মেলে না মাহমুদার।
ঘটনার দিন জসীম তার কয়েক বখাটে বন্ধু ও সহোদর ছোট ভাইকে নিয়ে রাস্তায় আগে থেকে ছোরা, দা, শাবল নিয়ে উৎ পেতে থাকে। কোচিং করতে যাওয়ার পথে পাড়াবাজিতপুর ও হিলচিয়ার সংযোগ সেতুর উপরে মাহমুদার ওপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাত করে মাহমুদাকে। এক সময় মাহমুদা লুটিয়ে পড়লে এবং আশপাশের মানুষের বিষয়টি নজরে পড়লে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
আহত মাহমুদাকে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানকার চিকিৎসকরা মাহমুদাকে নিবিড় পরিচর্যা কক্ষে রেখে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক।
এ ব্যাপারে আহত মাহমুদার বড়ভাই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার ১৮ জানুয়ারি আটক দুই সহোদরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।