বিশেষ প্রতিনিধি ।।
বখাটে সাবেক স্বামী ও তার সহযোগীদের অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে আহত রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রী মাহমুদা(১৯)র জ্ঞান ফিরেছে বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারি। মৃত্যুর সাথে ৩দিন লড়ে প্রথম চোখ মেলে সে। জ্ঞান ফিরার পর মাহমুদা আক্তার হাসপাতালের চিকিৎসক ও বড়ভাই ইদ্রিস আলীর সাথে কথা বলেছে। মাহমুদার অবস্থা আশংকা মুক্ত না হওয়ায় এখনো তাকে আইসিইউতেই রাখা হয়েছে বলে সেখানকার চিকিৎসকদের একজন জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নিকলী উপজেলার পাড়াবাজিতপুর নিজ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী বাজিতপুরের হিলচিয়া বাজারের কোচিং ক্লাসে যাওয়ার পথে পাড়াবাজিতপুর-হিলচিয়া ব্রিজের ওপর বখাটে দলের হামলার শিকার হয় কলেজছাত্রী মাহমুদা আক্তার। সে নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের পাড়াবাজিতপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর কন্যা ও বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজের একাদ্বশ শ্রেণির ছাত্রী।
বখাটে দলের ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে মাহমুদার মাথায় মারাত্মক জখম সহ কানের লতি আলাদা হয়ে যায়। আহত মাহমুদাকে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একই দিন রাতে রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মাহমুদার সাবেক স্বামী বখাটে জসীম উদ্দিন(২৫) ও তার সহোদর ছোট ভাই রাজু আহম্মদ (২১) কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মাহমুদার উপর আক্রমণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিশোরগঞ্জ জেলার এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ রাকিব খান।