নিকলীতে পিকআপ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা!

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে রোববার ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর বেলায় একটি পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পিকআপ ভ্যানটি উপজেলার টিঅ্যান্ডটি সংলগ্ন পিকআপ স্ট্যান্ডে প্রতিদিনকার মতো রাতে রাখা ছিলো। এর মালিক উপজেলা সদরের পুকুরপাড় গ্রামের মৃত ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে। নিটল-টাটার কিশোরগঞ্জ অফিস থেকে কিস্তিতে নিয়েছিলেন পিকআপটি (নং-কিশোরগঞ্জ ৫৩০৮)।

জানা যায়, আবুল কাশেম একজন হার্টের রোগি। অসুস্থতার জন্যে বছর দুয়েক আগে ইস্পাহানী মির্জাপুর চা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির চাকরি ছেড়ে দেন। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত আবুল কাশেম বেকার জীবনের অভিশাপমুক্ত হতে দেড় বছর আগে পিকআপটি কিস্তিতে গ্রহণ করেন। কিস্তির টাকা, সংসার লালন পালনে অসুস্থ শরীর নিয়েও নিজেই হেলপারের কাজ করতেন পিকআপটিতে।

pickup-nikli

আবুল কাশেম এ প্রতিনিধিকে জানান, “গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা সদরের নামেশ্বর হাটির সোহেলের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়। শনিবার রাতে পিকআপটি স্ট্যান্ডে রেখে যাই। ভোর বেলায় পিকআপটিকে জ্বলতে দেখে এলাকাবাসী খবর দিলে আমি স্ট্যান্ডে এসে পিকআপের পোড়া অংশ পড়ে থাকতে দেখি। এলাকায় আমার কোনো শত্রু ছিলো না। এখনো আছে বলে মনে করি না। তবে বাক বিতণ্ডার সময়ে সোহেল আমাকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছিলো।”

এ ব্যাপারে সোহেলের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, “আবুল কাশেম এলাকায় মদ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় আমার বাড়ির সামনে হিন্দু এলাকায় হিজরাদের নিয়ে নাচানাচির সময় মানা করলে বাকবিতণ্ডা হয়। তাছাড়া গাড়িটি গত ৬ মাস যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় স্ট্যান্ডে পরে আছে। বিক্রেতা কোম্পানি তার কাছ থেকে কিস্তির টাকা পাওনা থাকায় আগুন লাগাটা তার নিজস্ব চক্রান্ত বলে মনে করছি।”

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিব জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নিবো।

Similar Posts

error: Content is protected !!