বাজিতপুর প্রতিনিধি।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বিলের বাঁধ কাটায় ভেসে গেছে ১২ লাখ টাকার মাছ। ১২ মার্চ রোববার গভীর রাতে উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের বরিয়ার বিলের বাঁধ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় একজনকে প্রধান আসামি করে ১৩ মার্চ সোমবার বাজিতপুর থানায় অভিযোগও করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কৈলাগ ইউনিয়নের বরিয়ার বিলটি কুকরারাই মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার নামে ইজারা নেয়া ছিল। এবং স্থানীয় সালাম মিয়া নামের একজন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বছরের জন্য সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন। বিল লিজ নেয়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী কচুয়াখলা গ্রামের স্বপন চন্দ্র দাস নামের একজনের সাথে সালাম মিয়ার পূর্বশক্রতাও ছিল। রোববার গভীর রাতে ওই শক্রতার জের ধরেই স্বপন ও তার লোকজনেরা বিলটির বাঁধ কেটে ফেলেন। এ ঘটনায় স্বপন দাসকে প্রধান আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সালাম মিয়া জানান, রোববার রাতে সমরেন্দ্র দাস নামের একজন পাহারায় ছিল। রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে সমরেন্দ্র দেখতে পান স্বপনসহ তার লোকজন বিলের পাড় দিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছেন। কয়েক মিনিট পরেই বাঁধ কাটার বিষয়টি সমরেন্দ্র দেখতে পান। বরিয়ার বিলটি ঘোড়াউত্রা নদীর সাথে সংযুক্ত থাকায় পরে অনেক চেষ্টা করেও পানি আর মাছ রক্ষা করা যায়নি। বিলটি থেকে মাছ বিক্রি করলে ১৬ লাখ টাকার মত বিক্রি করা যেত ও বাঁধ কাটার পরে ১২ লাখ টাকার মত মাছ নদীতে চলে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
অপরদিকে এ বিষয়ে স্বপন দাস জানান, আমি ও সালাম একই পেশার মানুষ। আমাদের মধ্যে উল্লেখ করার মত কোন শক্রতা নেই। সাধারণ পূর্ব ঘটনার জের ধরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শামা মোহাম্মদ ইকবাল হায়াত বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।