আমাদের নিকলী ডেস্ক।।
২০ মার্চ ২০১৭ তারিখের মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে নারী অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণের বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে ‘প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৭’ নামে নতুন একটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
নতুন এ আইন কার্যকরের সাথে সাথে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল বিধিমালা কার্যকারিতা হারাবে। অভিবাসী কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কল্যাণের জন্যই এ আইন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই বোর্ড অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণার্থে প্রকল্প গ্রহণ ও পরিচালনা করবে; প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণার্থে তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেবে; বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীদের কল্যাণে কার্যক্রম পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবে; অভিবাসী মৃত কর্মীর লাশ স্বদেশে ফেরত আনা এবং সৎকারে সহায়তা প্রদান করবে; অসুস্থ, আহত, পঙ্গু, অক্ষম প্রবাসীদের দেশে আনা এবং চিকিৎসায় সহায়তা দেবে; বিদেশে মৃত্যুবরণকারীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবে; প্রবাসীদের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্সের অর্থ এবং সার্ভিস বেনিফিট আদায়ে সহায়তা করবে; প্রবাসী কর্মীদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান এবং তাদের আইনি সহায়তা দেবে; প্রবাসী কর্মীদের জন্য তথ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করবে।
এ ছাড়া বিদেশে কর্মরত কোনো নারী অভিবাসী বিপদগ্রস্ত বা দুর্ঘটনার শিকার হলে তাকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনা, চিকিৎসা দান ও আইনি সহায়তা প্রদান করা; দেশে প্রত্যাগত নারী অভিবাসী কর্মীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা এবং নারী অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য দেশে কিংবা বিদেশে সেফ হোম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা হবে প্রবাসী কল্যাণ বোর্ডের কাজ।
এ ছাড়া বৈঠকে বস্ত্র আইন-২০১৭, বালাইনাশক আইন-২০১৭, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য দুটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ এবং উদ্ভাবনীমূলক কাজের জন্য অনুদান প্রদান সম্পর্কিত নীতিমালা (সংশোধিত)-২০১৬-এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের জারি করা পরিপত্র ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হলো, দিবসটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হবে। গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
সূত্র : গ্রামে বাড়ি করতেও অনুমোদন লাগবে (কালের কণ্ঠ)