বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ।।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখি ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। ঝড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত তিন শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সহস্রাধিক গাছ উপড়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে পাকা গম, থোরঅলা ধানসহ কৃষকের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী শুক্রবার রাত ২টা ও শনিবার সকাল ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত কয়েক দফা আকস্মিক ঝড় জেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
করিমগঞ্জ থানার ওসি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রচণ্ড কালবৈশাখি ঝড়ের সময় করিমগঞ্জের পানাহার কনিকপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক রইছ উদ্দিন (৫০)-এর বসত ঘরের উপর একটি বড় আমগাছ ভেঙে পড়ে। এতে ঘর বিধ্বস্ত হয়ে পড়লে ঘরের নিচে চাপা পড়ে রইছ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। মুমুর্ষু অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়।
করিমগঞ্জের গুনধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল সাকির নূরু শিকদার জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নে বেশ কিছু কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একই রকম ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রাজকুন্তি গ্রামের কৃষক আবদুর রউফ মিয়া জানান, ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার ৬ কাটা জমিতে পাকা গম ছিল। গম কেটে আনবেন বলে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন। রাতের আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে ক্ষেতের এক-তৃতীয়াংশ গম নষ্ট হয়ে গেছে বলে তিনি আক্ষেপ করে এ প্রতিনিধিকে জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি শফিকুল ইসলাম জানান, করিমগঞ্জসহ জেলার কয়েকটি উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে তালিকা করতে বলা হয়েছে।