আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বাল্যবিয়ে এবং জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করা বাংলাদেশের শারমিন আক্তারকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘সেক্রেটারি অব স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ড, ২০১৭’ প্রদান করতে যাচ্ছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন এই পুরস্কার দেবেন।
বাংলাদেশের মেয়ে শারমিন মাত্র ১৫ বছর বয়সে রুখে দাঁড়ান নিজের বাল্যবিবাহের বিপক্ষে। মায়ের চেষ্টার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে রুখে দাঁড়িয়ে নিজের পড়াশোনা অব্যাহত রাখেন তিনি। যা শারমিনের মতো একই রকম চাপের সম্মুখীন দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ মেয়েদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্টদূতের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের যেসব দেশে বাল্যবিবাহের হার বেশি বাংলাদেশ সেগুলোর একটি, বাল্যবিবাহের এই ধারা লক্ষ লক্ষ মেয়ের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও শিক্ষার অধিকারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে যা দেশের উন্নতিকে বাধাগ্রস্থ করে।
নিজের চেয়ে কয়েক দশক বেশি বয়সের বরকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে শারমিন অসাধারণ সাহস ও আত্ম-বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। শারমিন নারী ও মেয়েদের কাছ থেকে সচরাচর প্রত্যাশিত নীরবতা ভাঙ্গার সাহস দেখিয়েছেন, নিজের অধিকার রক্ষায় লড়াই করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত তার মা ও হবু বরকে আইনের আওতায় এনেছেন।
সাহসিকতার জন্য প্রশংসিত শারমিন বর্তমানে ঝালকাঠির রাজাপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী এবং সমাজের ক্ষতিকর প্রথা বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে তিনি ভবিষ্যতে একজন আইনজীবী হবার স্বপ্ন দেখেন।
সেক্রেটারি অফ স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রতি বছর বিশ্বের নারীদের অসাধারণ সাহসিকতা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যারা ব্যক্তিগত ঝুঁকি সত্বেও শান্তি, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, নারী পুরুষের সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন এর ব্যাপারে অবদান রেখেছেন। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের এই পুরস্কার এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশ থেকে শতাধিক নারীকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই বছর এই সম্মাননা পাচ্ছেন ১৩ নারী।
সূত্র : বিশ্বসেরা সাহসী নারীর অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশী শারমিন (চ্যানেল আই অনলাইন)
এবং ‘সাহসী নারী’র পুরষ্কার নিতে যুক্তরাষ্ট্রে ঝালকাঠির শারমিন (বিবিসি বাংলা)