আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বাংলাদেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বহন করছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ এ কথা বলেন।
তবে এটি উদ্বেগের কোনো ব্যাপার নয়। কারণ, যক্ষ্মার জীবাণু সবসময় মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পালমোনোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ। বাসস
তিনি বলেন, যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে এই জীবাণু ক্ষতিকর হয় না- তা সুপ্ত অবস্থায় থাকে।
এই জীবাণু থাকা সত্ত্বেও একজন ব্যক্তি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে। আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরাও তাকে কোনো ব্যবস্থাপত্র দেন না।
সংক্রামক এই রোগের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠাণ্ডা, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, অবসাদ ইত্যাদি। এই রোগ শরীরের যে কোনো অংশে হতে পারে তবে এতে ফুসফুসের আক্রান্তের হারই অধিক।
তিনি বলেন, নিয়মিত ৬ মাস চিকিৎসায় এই রোগ আরোগ্য হয়। কিন্তু নিয়মিত ওষুধ সেবন না করলে যক্ষ্মার জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী (ড্রাগ রেসিসট্যান্ট) হয়ে ওঠে। এ অবস্থাকে এমডিআর যক্ষ্মা বলা হয়। তখন পূর্ণ চিকিৎসার জন্য রোগীকে ২৪ মাস নতুন করে ওষুধ সেবন করতে হয়।
ডা. শামীম বলেন, যক্ষ্মা নিরূপণ ও চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এ নিয়ে উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। কারণ, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার এমডিআর যক্ষ্মা রোগী পাওয়া যায়।
২০১৫ সালে বাংলাদেশে ১ লাখে ২২৫ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়। এ ছাড়া এমডিআর যক্ষ্মার রোগীর সংখ্যা হচ্ছে- প্রতি ১ লাখে ৬ জন।
অবশ্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরো জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
এমডিআর যক্ষ্মার চিকিৎসায় বিভিন্ন ডটস পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে লক্ষ্যণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৩ সালে ডটস পদ্ধতি চালু করেছে। এই ব্যবস্থায় ২০১৪ সালে ৯৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।