নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকালে ভৈরব ছয়সুতী এলাকায় আশ্রাব আলী (৪০) নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রী মারা গেছেন। মৃত আশ্রাব আলী নিকলীর দামপাড়া ইউনিয়নের শেখের হাটির মীরু মিয়ার ছেলে। তিনি একজন ধান ব্যবসায়ী।
তার পরিবার ও এক আত্মীয়ের সূত্রে জানা গেছে, আশ্রাব আলী ব্যবসার উদ্দ্যেশে আশুগন্জ গিয়েছিলেন। ভৈরব দুর্জয় মোড় সিএনজি স্টেশন থেকে নিকলীতে ফিরছিলেন।
তিনি সিএনজি অটোরিকশার সামনের ডান সিটে বসা অবস্থায় মাথা বের করে রাখেন। অটোরিকশাটি ছয়সুতী নামক এলাকায় এলে পেছন থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কা লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এরপর লোকজন উদ্ধার করে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তার সাথে থাকা মোবাইল নাম্বারে বাড়িতে মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
এদিকে, সোমবার ৩ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারসিন্দুরকে একটি ট্রাক্টর ধাক্কা দেয়। এ সময় সিট না পেয়ে ট্রেনের দরজায় বসে থাকা বায়েজিদ মিয়া (১৮) নামে এক যুবক ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে পড়ে যায়। এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বায়েজিদের বাড়ি নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে। বাবা রাজমিস্ত্রি ছনু মিয়া।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র রাজমিস্ত্রী ছনু মিয়ার ছেলে বায়েজিদ মোহরকোনা দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণী ভর্তি হয়েও অর্থাভাবে আর পড়তে পারেনি। তাই কাজের সন্ধানে তার চাচা নুরুল হকের সাথে ঢাকা রওয়ানা হয়। সরার চর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসে তারা গাড়িতে ওঠে। ট্রেনে উঠে কোন সিট না পেলে সে দরজার কাছে বসে থাকে। ট্রেনটি শম্ভুপুর বড়কান্দা এলাকায় এলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ট্রাক্টরটি জব্দ করে। দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টরের ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।