নিজস্ব প্রতিনিধি।।
নিকলী উপজেলার সিংপুরের হাওর নতুন করে তলিয়ে গেছে। টানা ১৯ দিন বড় বাঁধের পাড়ে মাটি দিয়ে ধরে রাখলেও বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে পানি বাঁধ ভেঙ্গে প্রবাহিত হতে থাকে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে আহ্বান জানানো হয় বাঁধ রক্ষায় এগিয়ে আসতে।
হাজারো মানুষ চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি প্রবাহিত পানি। হাজার হাজার একর জমি এখন বুকসমান পানির নিচে। প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে সিংপুরবাসী, জানালেন কৃষক জহিরুল ইসলাম। ৩ একর জমিতে আশি হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। সবটাই ঋণ করতে হয়েছে।
জহিরুলের মতো সব কৃষকই ঋণের জোয়াল নিয়েই কৃষি শুরু করেন। কেউ ব্যাংকে, কেউবা এনজিও লোনে। ফসল তুলে আনতে পারলে ঋণ শোধ করতে পারদেন। “এখন কি উপায় হবে” এক বাড়ি থেকে এমন বিলাপ শুনতে পান আমাদের নিকলী ডটকম-এর এই প্রতিবেদক। কাছে যেতেই বিলাপরত ওই গৃহবধূ জানান, ঋণে জর্জরিত। এ অবস্থায় ফসল হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। সারাবছরের খোড়াক তো গেলই, ঋণ-ই বা কিভাবে শোধ করবেন?
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ফসল তলিয়ে গেছে বড়াইল, ঘোড়াদিঘা, কীর্তিপুর, কাশিপুর, ডুবি ও সিংপুর হাওর। কৃষক আধাপাকা ধান কাটার চেষ্টা করছেন কোমর পানিতে নেমে। এর মাঝে আবার দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এক হাজার থেকে বারশো টাকা দিয়েও শ্রমিক মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে এবার কৃষকের কোমর ভেঙ্গে গেছে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে কত সময় লাগে কেউ বলতে পারছে না!