আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
যাত্রী বোঝাই বাসটি টার্মিনালে ঢোকার কয়েক মিনিট আগে হেলপারের হাতে চাবি তুলে দিয়ে চালক নেমে গিয়েছিলেন। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মারা যান এক যাত্রী। আহত হন অন্তত ৩০ জন।
শনিবার ১৫ এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরতলির বড়পুল এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। অনন্যা সুপার পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসছিল কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাস টার্মিনালে।
কিন্তু টার্মিনালের দেড় কিলোমিটার দূরে থাকতেই পার্শ্ববর্তী সগড়া গ্রামের চালক রতন তার হেলপার মাছুমকে চালকের আসনে বসিয়ে নেমে যান। হেলপার নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় বড়পুল ফকিরবাড়ি মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তার পাশের পতিত জমিতে বাসটি উল্টে গিয়ে পড়ে যায়।
এতে ৩৫ বছরের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি (পুরুষ) ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শহরের হারুয়া এলাকার তৌহিদ (৩৫), সদর উপজেলার রশিদাবাদ এলাকার মাসুম (২৫) ও কাঁটাবাড়িয়ার জামাল আহমেদ (৩০), ভাগলপুরের সাইফুল ইসলাম (২৬), সদর উপজেলার রশিদাবাদের মাসুম (২৫), করিমগঞ্জের মোদকপাড়ার অনুকূল দেবনাথ (২৭), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাহেদগাঁওয়ের মিন্টু পালের ছেলে সুমন পাল (১৯) ও আব্দুল মান্নানের ছেলে লিংকন (১২), ঈশ্বরগঞ্জের তেলুহাটি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে হুমায়ুন কবীর (১৮), সদর উপজেলার ভুবিরচরের মৃত জমির উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা (১৫) ও রাজনগরের এরশাদের মেয়ে হাবিবা (২৫) সহ অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান হাসপাতালে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং যথাসাধ্য সুচিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাসটি টার্মিনালের অদূরে আসতেই হেলপার মাছুমকে চালকের আসনে বসিয়ে মূল চালক সগড়া এলাকার রতন নেমে যান। এর ফলেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র : কিশোরগঞ্জে বাস উল্টে নিহত ১ (পূর্বপশ্চিমবিডি)