বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতি বৃষ্টিতে সৃষ্ট আগাম বন্যায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজারো হেক্টর ধানী জমি। গত কয়েকদিন আগেও হাওরের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত হাওরবেষ্টিত এ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে যেখানে চোখে পড়ত সোনালী ধান, সেখানে আজ হাজারো কৃষকের স্বপ্নের ভরাডুবি। ফসল ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট আগাম বন্যায় ফসলহানীতে স্বপ্নে বিভোর কৃষকদের স্বপ্নহানী।
২৬ ও ২৭ এপ্রিল আগাম বন্যায় তলিয়ে যাওয়া হিলচিয়া, দিঘীরপাড়, কৈলাগ, হুমাইপুর ও মাইজচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি হাওর পরিদর্শনে চোখে পড়ে কৃষকদের একমাত্র ফসল ইরি-বোরো ধানের ফসলহানীর চিত্র। এসময় কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এবার অধিক সুদে গ্রহণ করা ঋণের টাকায় ধান চাষ করেছিলাম। প্রতিনিয়ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েকদিনেই সকল আধাপাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান না পেলে আমরা খাব কি! আর মহাজনদের ঋণের টাকাই বা কিভাবে পরিশোধ করব? এজন্য তারা সরকারের যুগোপযোগী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে উপজেলায় তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন হাওর প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করছে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণ ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে।