আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতার জন্য আরো ১ বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সোয়া ২ লাখ শ্রমিক তাদের বৈধতার জন্য আবেদন করেছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার ২ মে তার বাসভবনে মালয়েশিয়ায় সফররত জার্নালিস্টস ফোরাম অন মাইগ্রেশন (জেএফএম) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। বাসস
মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় কালে রাষ্ট্রদূত জানান, এক বছরের সময় বেঁধে দিয়ে গত বছরের ফেব্রয়ারি থেকে এ দেশে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করণের জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। এক বছর সময় শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সরকার প্রধানের সাথে সরাসরি টেলিফোনে কথা বলেন। এরপর আরো ১ বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় এখনো বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। যারা এখনো নিবন্ধনের আওতায় আসতে পারেনি, ‘আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের শ্রমবাজারের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনাময় খাত। সঠিক ও সচেতনভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এখানে আরো প্রচুর শ্রমিক আসার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে এদেশে শ্রমিক আসা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন কম খরচে শ্রমিক আসতেই থাকবে। চুক্তি বাতিল না করা পর্যন্ত এ বাজার আর বন্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। তবে অভিবাসন ব্যয়সহ পুরো বিষয়টি বাংলাদেশ থেকে কঠোরভাবে মনিটরিং হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
জেএফএম সভাপতি মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেনের পরিচালনায় জেএফএম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মনজুর এ-আজিজ, সদস্য আখতাজ্জামান লাভলু (ভোরের কাগজ), শামসুদ্দীন আহমেদ (ইত্তেফাক), মাহবুব আলম লাভলু (ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন), সাখাওয়াত কাউছার (বাংলাদেশ প্রতিদিন), নুরুজ্জামান লাবু (বাংলা ট্রিবিউন) এ সময় বক্তব্য রাখেন। দূতাবাস কর্মকর্তা এয়ার কমোডর হুমায়ুন কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।