কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কিশোরগঞ্জে নিয়ন্ত্রণহীন চালের বাজার। আগাম বন্যায় ফসলহানির অজুহাতে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখন বাজারে নতুন বোরো ধানের মধ্যে শুধু ব্রিধান-২৮ জাতের চাল উঠেছে। এছাড়া সব চালই গুদামজাত পুরনো চাল।

ফলে আগের দামে কেনা চালের বাজারমূল্য কি করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, ক্রেতাদের কাছে তা বোধগম্য হচ্ছে না। শহরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এবারের নতুন বোরো ধান ব্রিধান-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। অথচ অন্যান্য বছর এই সময়ে নতুন ব্রিধান-২৮ বিক্রি হতো বড়জোর ৩৫ টাকা কেজি। আর পুরনো চালের মধ্যে এখন টোপাবোরো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। পায়জাম বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা কেজি, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, মিনিকেট ৫৪ টাকা কেজি, বিআর-৪৯ ৫০ থেকে ৫১ টাকা কেজি, ব্রিধান-২২ জাতের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি। আর আমন চাল খিল্লই বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি। চালের দোকানে টানানো মূল্য তালিকাতেই এই দর লেখা রয়েছে।

দামের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন চাল বাজারে না আসাতেই মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। দুই সপ্তাহে প্রতিটি চাল কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়েছে। পায়জাম চাল দু’দিন আগেও ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দু’দিনে দুই টাকা বেড়ে গেছে। এভাবে প্রতিটি চালই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ ক্রেতা, বিশেষ করে সীমিত বা নিম্ন আয়ের মানুষদের এখন নাভিশ্বাস অবস্থা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো তদারকি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মাসউদকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এর আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তবে বাজার কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাবো।

বাজার কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেমকে প্রশ্ন করলে বলেন, এসময় দাম বাড়বেই, কিছু করার নেই। এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীলকে প্রশ্ন করলে তিনি লোক পাঠিয়ে খবর নেবেন বলে জানিয়েছেন।

সূত্র : কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম (সংবাদ, ৬ মে ২০১৭)

Similar Posts

error: Content is protected !!