বিশেষ প্রতিনিধি ।।
বাবা দিনমজুর। ঘরে সৎমা। সকল প্রতিকূলতার চোখে আঙুল দিয়ে নিকলী গোরাচাঁদ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নিকলীর নয়াহাটি গ্রামের মো. রকিবুল হাসান ঢাকা বোর্ড থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, রকিবুল হাসানের ২ বছর বয়সে মা মরিয়ম আক্তার মারা যান। দিনমজুর বাবা সাহাবদ্দিন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মা ও হতদরিদ্র পরিবারটির রকিবুলকে পড়াবার সামর্থ্য ছিলো না। খাবারের যোগান দিতে হিমসিমের মধ্যেও ভালো ছাত্র হওয়ায় রকিবুলকে বিদ্যালয়ে পাঠাতেন বাবা সাহবদ্দিন। তাকে উৎসাহিত করতো পাড়া-প্রতিবেশী ও রকিবুলের প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষকরা।
পড়াশুনার খরচ যোগাতে কিশোর বয়সেই করতো টিউশনি। অর্থাভাবে প্রাইভেট পড়তে পারেনি নিজে। বেশি অংকের টাকার প্রয়োজনে ফাঁকে ফাঁকে দিনমজুরী করতো রকিবুল।
নিকলী গোরাচাঁদ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোকাম্মেল হোসেন খোকন বলেন, আর্থিক অনটন না থাকলে আরো ভালো করতো রকিবুল।
প্রতিবেশী যুবলীগ নেতা কাউসারুল আলম বলেন, সহযোগিতা পেলে রকিবুলের অনেক দূর এগোবার মেধা রয়েছে।
রকিবুল হাসান জানায়, চিকিৎসক হবার সাধ তার। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়তে হলে যে অর্থের প্রয়োজন, তার পরিবারের সে সামর্থ্য না থাকায় বিজ্ঞান নিয়ে পড়া বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে রকিবুলের।