আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাট ব্যাগ ব্যবহারের পক্ষে এবং পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে সারাদেশে আগামী ১৫ মে থেকে সপ্তাহব্যাপী অভিযান শুরু হচ্ছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামুলক ব্যবহার আইন-২০১০ সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কিনা, মনিটরিংয়ের জন্য এই অভিযান চলবে।
এই আইনে ১৭টি পণ্য- ধান, চাল, গম, ভূট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেয়াঁজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা ও তুষ-খুদ-কুড়া পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই এই আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী সড়কপথ, জলপথ, স্থলবন্দর, মালামাল পরিবহনকারী যানবাহন, উৎপাদনকারী, প্যাকেটজাতকারী, আমদানিকারক-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান চলবে। স্বরাষ্ট্র, বন ও পরিবেশ, সড়ক ও সেতু পরিবহন, নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও র্যাবের সহায়তায় এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে। এটি নিয়মিত চলতে থাকবে। বাসস
অভিযানের পাশাপাশি সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন এবং এর বহুমুখী ব্যবহারকে উৎসাহিত ও জনপ্রিয় করতে ১৭টি পণ্যের পাটজাত মোড়কের ব্যবহার ও জনসচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা-সমাবেশ এবং পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী অব্যাহত রাখা হবে।
রোববার ৭ মে সচিবালয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন সেক্টরে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দের এক সমন্বয়সভায় এই তথ্য জানানো হয়। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য,পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওর্নাস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ট্রাক এজেন্সি সমিতিসহ বিবিন্ন স্টেকহোল্ডার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে পাট ও বস্ত্রের সংমিশ্রণে উন্নত মানের সার্ট ও প্যান্টপিচসহ জিন্স কাপড়ের উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে মির্জা আজম বলেন, পণ্যের মোড়কে স্বাস্থ্য হানিকর পলিথিন ও প্লাস্টিকব্যাগ বর্জনে সবার সহযোগিতা দরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আবারো ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ এবং পরিবহনে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ অনুযায়ী মোড়কজাত করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য আবারো ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এজন্য সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে আইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সভায় জানানো হয়, আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর দেশে ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষীরা পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি পাট উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।