মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ ।।
কিশোরগঞ্জে বিদ্যানীড়ের আলো ছায়ায় প্রতিনিয়ত আলোকিত হচ্ছে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুর জীবন। যে সকল শিশু দরিদ্রতার কারণে বই, খাতা কি জিনিস তা জানত না। আজ তারাই জেলা সদরের গলিতে গলিতে বিদ্যানীড়ের শাখায় আদর, স্নেহ আর ভালোবাসায় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে ৩য় বর্ষে পড়ুয়া জেলার তাড়াইল উপজেলার মৌসুমী ঋতু ও বাজিতপুর উপজেলার ইসরাত সাকিলার হাত ধরে পথচলা বিদ্যানীড়ের। প্রথমে একটি শাখার মাধ্যমে বৈকালিক এ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও ইতোমধ্যেই অনেকটা সফলতাও অর্জন করেছে তারা। আর এতে তাদের কাজে উৎসাহিত হয়ে অনেকেই এখন আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
প্রতিনিয়ত নিজেদের পড়ালেখার পাশাপাশি তারা এখন শহরের কলেজ মোড়ে সজীব বেকারির গলি, হারুয়া নিরালা গলি ও কানিকাটা রেললাইন সংলগ্ন বড় বাড়ির সামনে বিদ্যানীড়ের মোট তিনটি শাখার মাধ্যমে অসহায় সুবিধাবঞ্চিত ১২০ জন শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলে ভর্তিসহ অসহায় পথশিশুদের জামা কাপড় ও লেখাপড়ার খরচও বহন করছে তারা।
তাদের এ মহতী কাজ নিয়ে কথা হলে বিদ্যানীড়ের পরিচালক মৌসুমী ঋতু জানান, প্রথমে আমরা একটি শাখায় বিদ্যানীড় চালু করলেও আজ তা এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনটি শাখায় এসে পৌঁছেছে। তিনটির মধ্যে দুইটিতে টিনশেডের ঘরও বিত্তবানেরা প্রদান করেছেন। নানা বাধা-বিপত্তি প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা এ পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে চলেছি। আমরা চাই দারিদ্র্য যেন একটি শিশুরও লেখাপড়া বন্ধ না করতে পারে। আমাদের পাশে যদি সমাজের আরও বিত্তবান এগিয়ে আসতেন তবে হয়ত পথশিশুদের জন্য আমরা বিদ্যানীড়কে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম। এজন্য তিনি সমাজের সামর্থ্যবান সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।